Advertisement

২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসির ফল

 


অধ্যাদেশ জারির পরিবর্তে, আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস করেই আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিনেন্স ১৯৬১ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২০’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮’ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

পরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অধ্যাদেশ জারি করে আগামী বুধ থেকে শনিবারের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। আইনে বিধান আছে, পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট দিতে হবে। যেহেতু এবার পরীক্ষা নেয়া যায়নি, তাই ৭-১০ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। আর মাত্র ছয় দিন পর সংসদ বসবে, তাই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, অধ্যাদেশ নয়, সংশোধিত আইন আকারেই পাস করা হবে, যাতে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে রেজাল্ট দেয়া যায়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে সংশোধিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন আর অধ্যাদেশ হচ্ছে না। সংশোধিত আইনের খসড়া আগামী ১৮ জানুয়ারি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থাপন ও পাসের পর এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী দুর্যোগকালীন পরীক্ষা নিতে সক্ষম না হলে মূল্যায়ন তথা ফল দেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের বিধান নেই।  

১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেয়া যাচ্ছে না।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

পরে ডিসেম্বরের শেষে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, যেহেতু পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, সেহেতু আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নতুন বছরের শুরুতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই চেষ্টা তারা করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ