এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষমতা শিক্ষাবোর্ডগুলোর। অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত হয় ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা অধ্যাদেশ বলে। বিধানে বলা আছে বোর্ডগুলো পরীক্ষা নেবে এবং ফল প্রকাশ করবে। সেই হিসেবে ফল প্রকাশ করার ক্ষমতা বোর্ডগুলোর। কিন্তু এবারে পরীক্ষা ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হচ্ছে। ফল প্রকাশের পর সংক্ষুব্দ কেউ আদালতের শরনাপন্ন হতে পারেন। এতে পুরো প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার এক লাইভ অনুষ্ঠানে বিষয়টি তুলে ধরা হয় দুই সপ্তাহ আগে। এরপরই সরকার উদ্যোগ নেয় বোর্ড অধ্যাদেশ সংশোধন করার। আর যেহেতু এখন সংসদ অধিবেশন নেই তাই সংসদ ছাড়াই বিধান পাল্টাতে হলে অধ্যাদেশ জারির বিকল্প নেই। এই অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফল প্রকাশের ক্ষমতা বোর্ডগুলোর কাছ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে যাবে।
অধ্যাদেশ জারির যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মন্ত্রিসভায় এটি অনুমোদন হলে দুএকদিনের মধ্যেই গেজেট আকারে প্রকাশ হতে পারে। ৪ জানুয়ারি সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেছেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অধ্যাদেশ জারি হবে এবং এরপরপরই ফল প্রকাশ হবে।
িক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। সহসাই এটি জারি করা হবে।
প্রসঙ্গত ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।
কিন্তু করোনাভাইসের কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।
গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেয়া যাচ্ছে না।
0 মন্তব্যসমূহ