গতবছরের মত এবারও এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নববর্ষের আগে বৈশাখী ভাতা পাচ্ছেন না। গতকাল সোমবার পর্যন্ত এই ভাতার জিও বা সরকারি আদেশ জারি হয়নি। ফলে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় করতে পারেনি অধিদপ্তরগুলো। তাই শিক্ষকরা কবে নাগাদ এ টাকা পাবেন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।


এমন পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দ্রুত বৈশাখী ভাতার চেক ছাড়ের দাবি জানানো হয়েছে। এর আগে গতবছর বা ১৪২৮ বঙ্গাব্দেও শিক্ষকরা পহেলা বৈশাখের আগে বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।  


২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ বা ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে বৈশাখী ভাতা পাওয়া শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তার আগের বছর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী এবারও এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পাবেন। 


এবারের বৈশাখী ভাতার চেক কবে ছাড় হচ্ছে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গতকাল বিকালে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, সোমবার পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বৈশাখীভাতার জিও বা সরকারি আদেশ অধিদপ্তরে আসেনি। তাই স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের চেক ছাড় হয়নি। জিও পেলে চেক ছাড় হবে। 


মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার জিও আমরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে পাইনি। জিও পেলে চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। 


সাধারণ শিক্ষকরা বলছেন, সাধারণত আদেশ না আসার অযুহাত দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা এমনিতেই চেক ছাড়ের দিন বেতন ভাতা দেন না। যেদিন শেষ তারিখ নির্ধারণ করা থাকে, সেদিন দেয়া হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। পরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই বুধবার চেক ছাড় হলেও আগামী সপ্তাহের আগে টাকা পাওয়া সম্ভব হবে না।  


এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, গতবছর শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পহেলা বৈশাখের আগে পাননি। এবারও পাবো বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, বৈশাখীভাতার চেক দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করুন।